পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি আমদানি করল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে ২৫ হাজার টন উচ্চ মানসম্পন্ন চিনি কিনেছে, যা আগামী মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে।
এই উদ্যোগ দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। কয়েক দশক পর এত বড় পরিমাণ চিনি আমদানি করল বাংলাদেশ, যা পূর্বে সাধারণত ভারতের কাছ থেকে সরবরাহ করা হতো।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অনুমোদনের পর পাকিস্তানের চিনিশিল্প এ বছর প্রায় ৬ লাখ টন চিনি রপ্তানির পরিকল্পনা করেছে। বাংলাদেশ ছাড়াও মধ্য এশিয়া, থাইল্যান্ড, উপসাগরীয় দেশ এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এই চিনি রপ্তানি করা হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে পাকিস্তানের চিনির চাহিদা
পাকিস্তানের চিনি রপ্তানি এ বছর ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করার লক্ষ্য নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বর্তমানে প্রতি টন $৫৩০-এ পৌঁছেছে। পাকিস্তানের ৮০টিরও বেশি চিনিকল ইতিমধ্যে উৎপাদন শুরু করেছে, যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বড় ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত
বাংলাদেশের এই বড় পরিমাণ চিনির আমদানি দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ওপর নির্ভরশীল থাকা বাংলাদেশ এখন নতুন সরবরাহ উৎস হিসেবে পাকিস্তানের ওপর ভরসা করছে।
এই উদ্যোগ শুধু বাংলাদেশের চিনির বাজারে স্থিতিশীলতা আনবে না, বরং পাকিস্তানের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। দু’দেশের মধ্যে এই বাণিজ্যিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করবে।